জুতা তো পায়েই থাকে, কী-বা আসে যায়! এমন ভাবনা নিতান্তই ভুল। পায়ের ওপরই থাকে পুরো শরীরের ভর। পায়ের সুস্থতায় তাই জুতা নির্বাচনে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন
*জুতা আরামদায়ক হতে হবে। পায়ের বড় আঙুলের সামনে অন্তত ১ সেন্টিমিটার জায়গা থাকা প্রয়োজন। ১ সেন্টিমিটার প্রশস্ত নমনীয় একটি কার্ডের ওপর পা রেখে পায়ের গোড়ালি থেকে সবচেয়ে বড় আঙুল পর্যন্ত পরিমাপ করে কার্ডটি কেটে নিন। জুতার ভেতর কার্ডটি ঢুকিয়ে দেখুন তা ১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত সামনে-পেছনে করা যাচ্ছে কি না।
*চামড়ার জুতা ব্যবহার করাই ভালো। র্যাক্সিন বা অন্যান্য কৃত্রিম উপাদানে তৈরি জুতাও মন্দ নয়। তবে পায়ে কোনো সমস্যা থাকলে চামড়া ছাড়া অন্য উপাদানে তৈরি জুতা এড়িয়ে চলাই ভালো।
*জুতার সোল হতে হবে হালকা, তবে তা মজবুতভাবে পরিধান উপযোগীও হতে হবে। তবে খুব শক্ত সোলের জুতা পরাও ঠিক নয়। বরং সহজে বাঁকানো যায়, এমন সোল বাছাই করতে হবে।
*জুতার সামনের অংশে আঙুল রাখার জায়গাও মজবুত হওয়া প্রয়োজন, যাতে জুতা ব্যবহারের সময় এই জায়গাটুকুর মাপ ও আকার অপরিবর্তিত থাকে এবং আঙুলের ওপর কোনো ক্ষতিকর চাপ না পড়ে।
*১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হিলের জুতা বেশ স্বাস্থ্যসম্মত। খুব উঁচু জুতা বা একেবারেই নিচু জুতা না পরাই ভালো।
*জুতার পেছন দিকে মজবুত হিলক্যাপ থাকতে হবে। স্যান্ডেলের ক্ষেত্রে পেছনের অংশে চামড়া বা কাপড়ের ফিতা থাকা প্রয়োজন। জুতার সামনের অংশেও ফিতা বা স্থিতিস্থাপক একটি অংশ থাকা প্রয়োজন। এগুলো না থাকলে পা পিছলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
*কোনাকার বা সামনের দিকে অত্যন্ত সরু জুতা পরা উচিত নয়। এ ধরনের জুতা আঙুলের ওপর প্রচণ্ড চাপের সৃষ্টি করতে পারে। আঁটসাঁট ও শক্ত জুতা পরলে পায়ে প্রদাহ হতে পারে।
Comments
0 comments
Share on: