যাঁরা শরীরের চর্বি কমিয়ে মাংসপেশির শক্তি বাড়াতে চান, তাঁদের শর্করা ও চর্বিজাতীয় খাবার কমিয়ে আমিষের পরিমাণ বাড়াতে হবে। কিছু উচ্চ আমিষযুক্ত খাবার আছে, যা মাংসপেশির শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিম: ডিম আমিষের চমৎকার উৎস। প্রতিদিন ডিম খাওয়া ভালো। ডিমের কুসুমে যে কোলেস্টেরল আছে, তা ততটা ক্ষতিকর নয় এবং মূলত স্টেরয়েড হরমোন তৈরিতে কাজে লাগে বলে আজকাল বিজ্ঞানীরা মত দিচ্ছেন। তা ছাড়া একটি ডিমে আধা গ্রামের মতো লিওসিন আছে, যা পেশি বাড়াতে সাহায্য করে।
বাদাম: পেশি বাড়াতে প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খাওয়া চাই। বাদামে আমিষ, আঁশ ও চর্বির দারুণ সমন্বয় আছে, যা ওজন না বাড়িয়েই যথেষ্ট ক্যালরি বা শক্তি দিতে পারে।
পনির: পনির প্রচুর ক্যালসিয়াম জোগানোর পাশাপাশি দেবে ক্যাসিন, যা রক্তে আমিষ বা অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায়। খেলোয়াড় বা অ্যাথলেটদের জন্য পনির উপকারী। এ ছাড়া পনির অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ছোলা: ছোলা আমিষ ও শর্করার সমন্বয়। এর শর্করা ধীরে শোষিত হয় বলে উপকারী। এক কাপ ছোলায় ৪৫ গ্রাম জটিল শর্করা ও ১২ গ্রাম আঁশ আছে। এটা দেহের চর্বি কমিয়ে পেশি বাড়াতে সাহায্য করে।
মাংস: পেশির শক্তি বাড়াতে মাংস তো কিছুটা খেতে হবেই। উচ্চমানের আমিষ, প্রচুর লৌহ আছে মাংসে। তবে রেড মিট বা গরু-খাসির মাংসে যে দৃশ্যমান চর্বি আছে, তা ফেলে দিয়ে খাওয়াই ভালো।
ডাল: প্রতিদিন এক কাপ ডাল খেলে শক্তি বাড়বে পেশির। এক কাপ রান্না ডালে আছে ১৮ গ্রাম আমিষ ও ৪০ গ্রাম জটিল শর্করা, যা দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি জোগাবে।
মাছ: চর্বিহীন আমিষ ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের উপকার পেতে নিয়মিত মাছ তো খেতেই হবে। ওজন না বাড়িয়ে আমিষ গ্রহণ এর মাধ্যমেই সম্ভব।
দুধ: হাড়, সন্ধি ও পেশির সুস্থতায় প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ বা দুধের তৈরি খাবার আবশ্যক।
Share on: