কর্মব্যস্ত দিনের ক্লান্তি দূর করতে ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এতে খুব বেশি সময়ও লাগে না, ১০-১৫ মিনিটই যথেষ্ট। এসব ব্যায়ামের প্রতিটিতে ২০ সেকেন্ডের মতো সময় ধরে নির্দিষ্ট মাংসপেশির সংকোচন দরকার হয়। এরপর ধীরে ধীরে সেই মাংসপেশিকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে হবে। জেনে নিন এ রকম কয়েকটি ব্যায়ামের পদ্ধতি:
* কপাল কুঁচকে ফেলুন। এ অবস্থায় ভ্রু দুটি উঁচু করুন। এই ভঙ্গিতে কপালের মাংসপেশি সংকুচিত হয়। ২০ সেকেন্ড পর ধীরে ধীরে কপালটাকে আগের মতো স্বাভাবিক করবেন।
* শক্তভাবে চোখ বন্ধ করে থাকুন। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হোন।
* মুখ বন্ধ অবস্থায় জিবের সাহায্যে শক্তভাবে তালুর দিকে চাপ দিয়ে রাখুন। খুব আস্তে আবার আগের অবস্থায় আসুন।
* দাঁতে দাঁত চেপে রাখুন। একইভাবে ২০ সেকেন্ড পর স্বাভাবিক হোন।
* থুতনি ঝুঁকিয়ে বুকের কাছে আনুন, যতটা পারেন। এবার এ অবস্থায় ২০ সেকেন্ড থাকুন এবং ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হোন।
* যতটা সম্ভব গভীরভাবে বুক ভরে শ্বাস নিন, তারপর একইভাবে স্বাভাবিক হোন।
* এক এক করে পেটের মাংসপেশি, ঊরুর মাংসপেশি ও বাহুর মাংসপেশি সংকোচন করে রাখুন ২০ সেকেন্ডের জন্য। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যান।
* সম্পূর্ণ হাতের মাংসপেশি শক্তভাবে সংকুচিত করুন এবং একই সঙ্গে হাত দুটো মুঠো অবস্থায় রাখুন। একই নিয়মে ২০ সেকেন্ড পর স্বাভাবিক হোন।
* পা দুটো দিয়ে মেঝেতে চাপ দিয়ে রাখুন এবং একই নিয়মে স্বাভাবিক করুন।
* পায়ের আঙুলগুলো টান টান করে উঁচু করতে চেষ্টা করুন। একইভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
এভাবে প্রতিদিন দুবেলা ব্যায়াম করুন। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে আপনি সহজেই মাংসপেশি শিথিল করতে শিখে যাবেন বলে আশা করা যায়।
এ ছাড়া শ্বাসের ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রথমে খুব আস্তে আস্তে বুক ভরে শ্বাস নিন। সম্পূর্ণ বুক ভরে বাতাস নেওয়ার পর অল্প সময়ের জন্য শ্বাস ধরে রাখুন। এবার শিথিলতা বা আরাম অনুভব করতে চেষ্টা করুন মনের ভেতর থেকে। এ সময় ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে থাকুন। একই পদ্ধতিতে ৫-১০ বার ব্যায়াম করুন। সারা দিনে তিন-চারবার এই ব্যায়াম করতে পারেন।
Comments
0 comments
Share on: